টেকনাফ সদরের লেংগুরবিল সোবহানি ঘাটে (মানবপাচারের ঘাট) জটলা বেঁধেছে বেশ কিছু নারী। সঙ্গে মধ্য বয়সী আরো কয়েকজন পুরুষ। সবার হাতে বস্তা, কাপড়চোপড় ইত্যাদি রসদপাতি। কোন জরুরি কাজে যেন তাদের অপেক্ষা!
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকালের ঘটনা। ওই সময় সড়ক পথে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মৈত্রী ভট্টাচার্য্যসহ আরো কয়েকজন।
সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দেওয়া সহজ, কিন্তু বিচারককে ফাঁকি দেওয়া যায় না।
মানব জটলাতে আটকে গেলো মৈত্রী ভট্টাচার্য্য-এর দু’চোখ। চলন্ত গাড়ি থামিয়ে এগিয়ে গেলেন সাগর তীরে। জটবেঁধে থাকা নারী-পুরুষদের সঙ্গে কথা বললেন। জানতে চাইলেন, তারা কেন জড়ো হলো? কাপড়চোপড়সহ যাচ্ছে কোথায়? প্রশ্ন করতেই ঘটনা স্পষ্ট হয়ে গেলো। সবাই সাগরপথে যাচ্ছিল মালয়েশিয়া।
ইত্যবসরে কৌশলে সটকে পড়লো দালালসহ কয়েকজন। হাতেনাতে ধরা খেলো ৪ জন। সেখানে ৩ জন রোহিঙ্গা।
তারা হলেন, টেকনাফ ১৬ নং ক্যাম্পের শাবুল্যাবাটার কালামিয়ার মেয়ে বুশারা, উখিয়া কুতুপালং ১৮ নং ক্যাম্পের মোস্তাক আহমদের মেয়ে তাসফিয়া, বালুখালী ৭৯ নং ক্যাম্পের আবুল কালামের মেয়ে আয়েশা ও মহেশখালী কালারমারছড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের আবদুস সাত্তারের ছেলে আরিফুল ইসলাম।
এ সময় পাচারের জন্য মজুত করা কাঠের বোটটিও জব্দ করা হয়েছে।
আটক ৪ জনসহ বোটটি টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সনজিব দত্ত-এর মাধ্যমে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যে বোটের মালিক লম্বরী এলাকার কালা বাম্বু বলে জানা গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি সিবিএনকে জানান, উদ্ধার ভিকটিমদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পাচারের নেপথ্যে কারা জড়িত তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বোটটি জব্দ করা হয়েছে। কোন অপরাধীর ছাড়া নাই।
পাঠকের মতামত