তেল কেলেংকারির সাজানো নাটক সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ‘এনজিও ফোরাম’ এর ওয়াশ প্রজেক্টের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আরিফের বিরুদ্ধে। কেউ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এমন অভিযোগ করছেন বলে দাবি করছেন তিনি। উখিয়ার নয়ন অটোমটরসের স্বত্তাধিকারী নয়ন সাংবাদিকদের জানান, আরিফুল ইসলাম কোথায় চাকরী করে আমরা কেউ জানতাম না। তার একটি ব্যবহারিক মোটরসাইকেল আমাদের দোকানে নিয়মিত মেরামত ও পার্টস পাল্টাতে আসতো। সেই সুবাধে তার সাথে আমাদের পরিচয়। এছাড়া তার সাথে আমাদের কোন লেনদেন নেই।
আরিফ কোন সময় আপনাদের তেল বিক্রি করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আরিফ কোন সময় আমাদের কাছে তেল বিক্রি করে নাই। তবে একটি টমটম গাড়ির ড্রাইভার গত ২৫ অক্টোবর ৫০ লিটার তেল বিক্রি করেছে। তেল কার আমরা জানি না। ড্রাইভার থেকে শুনেছি তেল গুলো সে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে দোকানে দোকানে গিয়ে খুচরা ব্যবসা করেন।
অভিযুক্ত টমটম ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি ভাংগারি জিনিসপত্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হয় না পরিত্যক্ত জিনিসপত্র অল্প মূল্যে কিনে দোকানে দোকানে বিক্রি করেন। সেখানে কেউ তেল, চাল, ডাল ইত্যাদি পেলে সেগুলাও অল্প মূল্যে কিনে নিয়ে দোকানে দোকানে গিয়া বেচা বিক্রি করেন। এনজিও ফোরামের আরিফ কে চিনেন কি না, তার থেকে কোন সময় তেল নিয়েছেন কি না..? এমন প্রশ্নের উত্তরে ড্রাইভার জানায়, আমি আরিফ নামে কাউকে চিনি না। কোন এনজিওর অফিস থেকে কিছু কিনেও আনি নাই।
এনজিও ফোরামের এক কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, কোন কর্মচারী এরকম প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র বেচা বিক্রি করার সুযোগ নেই। সব কিছু হিসাব নিকাশ আছে। ইন-আউট এর সময় পরিমান লিপিবদ্ধ থাকে। অফিসকে না জানিয়ে বা চুরি করে কোন জিনিসপত্র বেচা বিক্রি করলে অফিসের অন্যন্য স্টাফরা অবশ্যই দেখবে এবং জানবে। তাছাড়া যেখান থেকে তেল চুরির কথা বলা হচ্ছে সেখানের প্রবেশ পথ সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত।
এনজিও ফোরামের সেই কর্মচারির কথার সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুতুপালং ট্রানজিট সেন্টারের প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া সামনেই সিকিউরিটি ও টহল পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে।
অপবাদের শিকার এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি অজ্ঞাত কোন এক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। তেল চুরির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। হয়ত অফিসে আমার সুনাম নষ্ট করতে কেউ এমন কাজটি করেছে। তাছাড়া যখন অভিযোগটি আনা হয় তখন আমি ছুটিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি আমার বিরুদ্ধে তেল কারচুপির সংবাদ। আমি কোন দিন অফিসে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত ছিলাম না। আমার উর্ধতন কর্মকর্তারা সবই জানেন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে স্ব-সম্মানে আমার চাকরিতে ফিরতে চাই।
উল্লেখ্য, দৈনিক আপনকন্ঠ ও দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দুটি পত্রিকাতেই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইঞ্জিনায় আরিফ। তার দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় তদন্ত শুরু করে উল্লেখিত বিষয়াদী জানা যায়।