বিনোদন ডেস্ক ::
এরপর বেতার নাটক, টিভি নাটক, চলচ্চিত্র। আবার মঞ্চে। ১৯৮৮ সালে নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত তরঙ্গিনী নাট্যকেন্দ্র ১৯৯৬ সনে বিরতি টানে, এবার ২০১৭ সালে আবার শুরু রাজধানী ঢাকায়। সাজ্জাদ রাহমান এর রচনা ও পরিচালনায় এক সময়কার সাড়া জাগানো মঞ্চ নাটক ‘নদী ফিরে এসো’ দিয়েই এই নবযাত্রা। সে যাত্রায় সামিল হয়েছেন অনেকেই, মেয়েদের মধ্যে অনামিকা জুথি অন্যতম। নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছে রাজধানীর মিরপুরের সুন্দরী অনামিকা জুথি।
জুথির বাবা আবুল হাসান। মা আমেনা। তাদের একমাত্র মেয়ে সে।। বাবা-মায়ের আদুরের দুলালী। মিরপুর ১নং এ ড্যাপস স্কুল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, এরপর মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে।
মিডিয়ায় আসার ঘটনাটাও আকস্মিক। জুথির ছোটবেলার এক বন্ধু একদিন বলল- ‘জুথি আমাকে একটা কাজ করে দিতে হবে।’ কাজটা ছিল সেই ছেলেবন্ধুর ভার্সিটিতে একটা এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে তারই একটা শর্ট মুভি। এ প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জুথি বললো- ‘স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে একটা টেনশন শুরু হলো মনের ভেতর। ভাবলাম পারবো তো আমি? সাহস দিল ফ্যামিলি, বন্ধুরা এবং যারা সেটে ছিল, সবাই। মনে পড়লো মায়ের কথা। মা বলেছিলেন- যে কোনো কাজ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিবি, সাফল্য আসবেই।’
এরপর শুটিংয়ের প্রতিটা পদেক্ষেপকে জুথি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলো। শেষ ও হল। সেটের সবাই বলেছিল আমি অভিনয় নিয়ে ভাবতে পারি ভবিষ্যৎ এ ভালো কাজ করতে পারবো। এডিটিং শেষে শর্ট মুভিটা দেখে সবাই প্রশংসা করলো, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলাম।’
জুথি বললো- যে কোনো কাজে ফ্যামিলির সাপোর্টটা একটা বড়ো ফ্যাক্টর। যেখানে নিজের ফ্যামিলির সাপোর্ট থাকে সেখানে কখনো পিছুটান থাকেনা। এই নিয়ে ধীরে ধীরে বেশ কিছু কাজ করা হলো।
টিভি ক্যামেরার বদলে মঞ্চে আসার গল্প শুনতে চাইলে জুথি বলল- মঞ্চটা হলো অভিনয় শেখার জায়গা। টিভি নাটক বলি আর সিনেমা যেখানে যাইনা কেন, স্কুলিংটা কিন্তু থিয়েটার। একদিন ফেসবুকে সাজ্জাদ ভাই অফার করলেন মঞ্চে কাজ করবো কী না? রাজি হয়ে গেলাম। এসে পরিবেশটা খুব ভালো লাগলো। গল্পটাও অনেক সুন্দর, আশা করি পরিচালকের সহযোগিতা পেলে ভালো করতে পরবো।’
জুথি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাজ্জাদ রাহমান বলেন- ‘জুথির মধ্যে অভিনয়ের অসামান্য প্রতিভা রয়েছে, সেটা সে যখন স্ক্রিপ্ট রিডিং করছিলো তখনই বুঝতে পেরেছি। আর ও এমনিতেই অনেক স্মার্ট। সুতরাং ও ভালো করবেই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে জুথি বলে- মিডিয়াতে ভালো কাজ করার ইচ্ছে আছে যেখান থেকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ব এমনটাই ভাবছি। ভাললাগে সবার সাথে হাসি-খুশী থাকতে, আর খুব অপছন্দ মানুষকে নিয়ে গসিপ করা। অবসর সময়ে গান শুনে সময় কাটাই, ভালো লাগে বৃষ্টিতে ভিজতে, আবার রাতের বেলা বেলকনিতে বসে এক মগ চা সাথে আকাশের চাঁদ দেখতেও ভীষণ পছন্দ করি। প্রিয় পোশাক শাড়ি। প্রিয় খাবার ভর্তা-ভাত। প্রিয় মূহুর্ত যখন পরিবার নিয়ে আনন্দে সময়গুলো পার হয়ে যায়। মাঝে মাঝেই মিস করি মাকে। ২০১৪ সালে মা আমাকে একা করে চলে গেছেন। কালো আর লাল রংটা ভীষণ প্রিয়, খেতে ভালোবাসি ফুচকা।’