টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খোঁড়ায় একটি সড়কের সংস্কারকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কের (শহীদ এ টি এম জাফর আলম আরকান সড়ক) টেকনাফ পৌরসভার অংশের সংস্কারকাজ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক সড়কের টেকনাফ জিরো পয়েন্ট থেকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। গত ৩০ মার্চ এর কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রকল্পের অধীনে সড়কের সংস্কার ও প্রশস্ত করার জন্য ১৬৯ কোটি টাকা এবং পাঁচটি সেতু নির্মাণের জন্য ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এক সপ্তাহ ধরে টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় প্রকল্পের কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের মাটি কাটা হয়। গতকাল রাতে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌরসভা এলাকায় চলমান কাজ পরিদর্শন করেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকায় দুই লেন সড়কের সংস্কারকাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি লোকজন নিয়ে হাজির হন। একপর্যায়ে তিনি কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন আবদুর রহমান বদি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জনসভাসহ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। ওই জায়গা থেকে মাটি খুঁড়ে সড়কে ব্যবহার করার কারণে ঠিকাদারকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
আবদুর রহমান বদি অভিযোগ করেন, সড়কের দুই পাশে মাটি কাটায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা অনেকটা খাল-পুকুরে পরিণত হয়েছে। তাই তিনি ঠিকাদারকে বলেছেন, খুঁড়ে নেওয়া মাটি ভরাট না করা পর্যন্ত যাতে কাজ শুরু করা না হয়।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপপ্রকৌশলী রঞ্জন কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বর্তমানে সড়কের সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে টেকনাফে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, এলজিইডি ও সওজ প্রকৌশলী, মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী, বন কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ বিভিন্নজনকে মারধর করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। সুত্র: প্রথমআলো