মিয়ানমারে বিরোধীদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সাবেক সামরিক নেতাদের জারি করা কঠোর একটি আইন বাতিল করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও এ-সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন বলে গত মঙ্গলবার তাঁর দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫০ সালে এই জরুরি আইনটি জারি করা হয়েছিল।
ওই জরুরি আইনের আওতায় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারত। এমনকি বিস্তৃত পরিসরে বিশ্বাসঘাতকতা বিবেচিত হলে মৃত্যুদণ্ডের জন্য সুপারিশ করতে পারত প্রশাসন। এই আইনের অধীনে জনগণের মূল্যবোধে আঘাত কিংবা ভুয়া খবর ছড়ানোর মতো অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ ছিল।
দেশটিতে কয়েক দশক ধরে চলা সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই এনএলডি এই আইনটি বাতিলের চেষ্টা করছিল। তবে দেশটির পার্লামেন্টে এখনো সেনাবাহিনীর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকায় এই আইন বাতিলের পদক্ষেপ বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল। শেষমেশ নতুন পার্লামেন্ট এটি বাতিলের পক্ষে সম্মতি দেয়।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টের বিল-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান তুন তুন হেইন বলেন, ‘সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র তাঁদের বিরুদ্ধাচরণের জন্য যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে এই আইন ব্যবহার করত। কিন্তু এখন আমরা সেটি বিলুপ্ত করেছি, কারণ আমরা জনগণের সরকার।’ সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।