ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৫/১১/২০২৪ ৫:১২ পিএম

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় ৮০ ঘনফুট গাছ বহন করে এগিয়ে যাচ্ছিলো নাম্বার বিহীন একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার)।

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে দ্রুতগতিতে চলতে থাকা বাহনটি থামতেই চাচ্ছিলোনা, পরে থামার পর প্রতিবেদককে চালক দেখায় একটি ছাড়পত্র।

চালকের পাশের সিটে থাকা রফিক (৩৬) নামে এক গাছ ব্যবসায়ী জানান, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীস্থ জনৈক ফরিদের করাতকলে (স’মিল) নেওয়া হচ্ছে গাছগুলো।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে এই ঘটনার সময় দেখানো ছাড়পত্রটিতে স্বাক্ষর করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জ এর রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত।

ছাড়পত্রে ‘আকাশমণি গোলকাঠ’ গাছের উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১০-২০১১ সালে বরাদ্দ দেওয়া সামাজিক বনায়নের ৮০ হেক্টর সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে।

নিয়মানুযায়ী, ১০ বছর পর সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন করে নিলামের পর বিক্রির একটি লভ্যাংশ উপকারভোগীদের প্রদান করা হয়।

সময়সীমা অতিক্রমের ৪ বছর পর রহস্যজনকভাবে গাছগুলো নিলাম হয়েছে, তবে পানেরছড়া বিটের উপকারভোগীরা প্রাপ্য অর্থ পেয়েছেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্র বলছে, পানেরছড়া রেঞ্জে যোগদানের পর থেকেই দখলদারদের সাথে অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে সামাজিক বনায়নের গাছ লোপাট নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রতন লাল মহতের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব দালালদের দিয়ে তিনি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন, অনৈতিকভাবে কৌশলে মাসে উপার্জন করছেন লাখ লাখ টাকা।

মহত স্বাক্ষরিত সেই ছাড়পত্রে আকাশমণি গোলকাঠ গুলোর গন্তব্য লেখা ছিলো উখিয়ার থাইংখালি। অথচ এই এলাকায় কোনো অনুমোদিত করাতকল (স মিল) নেই।

মুলত ‘বৈধ’ সামাজিক বনায়নের গাছ নিলামের আড়ালে অবৈধ করাতকল জায়েজ করার কারণ হলো সিন্ডিকেটের সাথে মহতের যোগসাজশ।সুত্র,টিটিএন

পাঠকের মতামত