রোববার ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূতদের একথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে, বৈঠকের আলোচিত বিষয় নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে কোন কথা উল্লেখ করেনি তারা।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, সাম্প্রতিক বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল ইইউভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতগণ। তাদের চাহিদার আলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের আয়োজন করে।
রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আলাদা আলাদা করে রাষ্ট্রদূতদের বর্ণনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক সংঘটিত বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলো যেমন, জমায়াতুল মুজাহীদিন(জেএমবি), আনসার-আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জিহাদ-আল-ইসলাম(হুজি-বি), হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশ এবং আল-মুজাহিদ এই হত্যাকা-গুলোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বিএনপি এ দলগুলোকে আশ্রয়(শেল্টার) ও সহযোগিতা করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে বিএনপিকে এই দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি।
এসময় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরের উগ্রপন্থীদের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা তাদের নেটওয়ার্কের যোগাযোগ আছে কি-না তা জানতে সজাগ রয়েছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বৈঠকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়েদুনের নেতৃত্বে বৃটিশ, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ইতালির রাষ্ট্রদূতগণ এবং অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত