চতুর্থ দফায় বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে নাশকতা এড়াতে সারা দেশে র্যাবের সাড়ে চার শতাধিক টহল দল মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে দেড় শতাধিক টহল রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কসমূহে র্যাব ফোর্সেসের রোবাস্ট টহল দল। এদিকে অবরোধের অন্যান্য দিনের মতো আজও দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে র্যাবের স্কর্ট প্রদান করে বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জনজীবন স্বাভাবিক রাখা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাব।
তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে দেড় শতাধিক টহলসহ সারা দেশে র্যাবের সাড়ে চার শতাধিক টহল দল মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কসমূহে র্যাব ফোর্সেসের রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে স্কর্ট প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র্যাব। মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সার্বক্ষণিক সাইবার নজরদারি পরিচালনা করা হচ্ছে।
র্যাব জানায়, ইতোপূর্বে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণপূর্বক শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাব।
গত ২৮ অক্টোবর হামলা ও নাশকতাসহ পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত মোট সাড়ে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পাঠকের মতামত