ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি, এমওপি সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
গতকাল সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখার উপপ্রধান শেখ বদিউল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে এ কথা বলা হয়।
দাম বাড়ানোর ফলে এখন ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ২৫ টাকা, ডিএপি ১৯ টাকা, টিএসপি ২৫ টাকা এবং এমওপি ১৮ টাকায় বিক্রি হবে।
আর কৃষকদের প্রতি কেজি ইউরিয়া কিনতে ২৭ টাকা গুনতে হবে। প্রতি কেজি ডিএপি ২১ টাকা, টিএসপি ২৭ টাকা এবং এমওপি ২০ টাকা দরে কিনতে পারবেন কৃষকেরা।
গতকাল থেকেই সারের বর্ধিত এই মূল্য কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দাম বলবৎ থাকবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্ত মেনে বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্যের ভর্তুকি কমানো ও দাম বাড়াতে হচ্ছে। বুঝলাম, এটা একটা বাস্তবতা। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয়ও যে বাড়ছে, সেটা আমাদের বিবেচনায় কম থাকছে।’
অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জান আরও বলেন, সারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাবে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ যে পরিমাণে বাড়বে, তার একটা হিসাব করা উচিত ছিল। সেই সঙ্গে বাড়তি এই খরচ উঠিয়ে আনার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা কৃষককে দেওয়া উচিত। সারের দাম বাড়ানোর আগে বিষয়টি দেখা যায়নি