সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, বিএনপি’র ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের এক সময়ের দাপুটে নেতৃ। বর্তমানে ত্যাগী নেতাদের একজন। মাঠে ময়দানে সোচ্চার সব সময়। এই তো গত বছর হরতাল-অবরোধ চলাকালে নাশকতার অভিযোগে কারাবারণ করতে হয়েছিলো তাকে।
গত ৬ই আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আরমগীর ঘোষিত বিএনপির নবগঠিক কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোন পদ না পেয়ে দলকে এক হাত নিলেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি নানা ধরনের অভিযোগ তুলে দলকে ‘সার্কাস পর্টি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। তাঁর স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু উল্লেখ করা হলো-
সৎ, যোগ্য, পরীক্ষিত, ঈমানদার ,বিশ্বস্ত ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের শূন্যতা আজ শহীদ জিয়ার হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সার্কাস পার্টিতে পরিণত করেছে ।। আপোষহীন নেত্রী ও নিকটতম ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমানকে মাইনাস টু পরিকল্পনার অংশ মাত্র ।। তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে গত ছাব্বিশ বছর জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিঃশেষ করেছেন ।। নেত্রীকে নিরাপত্তার অজুহাতে গুলশানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ।। শহীদ জিয়ার অন্যতম মূলমন্ত্র জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস ।। অথচ নেত্রীকে জনবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে ।। মনে রাখা দরকার শহীদ জিয়ার পরিবার ব্যতীত কেউ যেন দলকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে না করেন ।। এরশাদ বিরোধী আনদোলনে জনগণ মনে করতো ছাত্রদল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছাড়া কেউ উৎখাত করতে পারবে না ।। তৎকালীন ছাত্রদল জনগণের বুকে এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল ।। হাজার হাজার সহযোদ্ধাদের বুকের রক্ত ও চোখের জল দিয়ে আপোষহীন নেত্রীকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছিল ।। এরই ফল ডাকসু বিজয় এবং এরশাদ উৎখাত ।। আজ আশঙ্কা সর্বত্র বিএনপি পারবে না ।। আপোষহীন নেত্রী আপনাকে বিনয়ের সহিত বলছি কর্মী ও সমর্থকরা যদি আল্লাহ না করুন মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে দল ও দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে ।। আজ দল মোনাফেক বেঈমান চাটুকার তেলবাজ মীরজাফর দিয়ে ভর্তি ।। প্রতিপক্ষ শহীদ জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কখনও প্রশ্ন করেননি ।। আজ আমার দেশকে চারটি ক্ষমতাধর বিশ্বের নিকট কাবিননামা করেছে ।। আপোষহীন নেত্রীর উপদেষ্টার অভাব নেই ।। গতকাল 73 জন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন।। নিয়োগ বললাম এ কারণে নিকট অতীতে ঈদের পর নয়াপলটন দলীয় অফিস খুলেছে ।। সবাই এসে তৃতীয় তলায় রিজভী ভাইকে খুঁজছে হন্যে হয়ে ।। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কাকে খুঁজছেন?? জবাব মিললো রিজভী ভাইয়ের ।। সময়টা বিকেল পাঁচটা ।। আমি বললাম উনি তো নেই ।। বেরিয়ে গেছেন ।। অনেকে বলে ফেললেন চাকরি তো নেই ।। যাই হোক প্রসঙ্গে আসি ।। আমাদের দেশ ইজারা দেবে ।। অথচ আপোষহীন নেত্রী এর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখেননি ।। আমরা বাকরুদ্ধ ।। নেত্রী তো গণভোট চাইতে পারতেন ।। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে দূর্বার আপোষহীন আনদোলন গড়ে তুলতে পারতেন ।। জংগীবাদের আড়ালে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে ।। আমাদের দেশের সন্তানরা যাতে ভারতে শিক্ষার জন্য আবার যাতায়াত করে এটাই মূল উদ্দেশ্য ।। অথচ আমাদের দেশে এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রচুর ।। কিন্তু আমাদের তথাকথিত রাজনীতি বিদরা আপোষহীন নেত্রীর কাঁধে বন্দুক রেখে দলের ভিতরে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।।
উল্লেখ্য গত শনিবার দলের জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে ৪ মাস পর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভোরের পাতা/