সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম শেখ সালেহ আল-তালিবকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। বেকসুর খালাস দিয়ে আদালতের আগের রায় বাতিল করে রিয়াদের স্পেশালাইজড ক্রিমিনাল আপিলস আদালত ইমামকে নতুন করে এ শাস্তি দিয়েছেন।
সোমবার (২২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও’ (ডন) এ তথ্য জানায়। বুধবার (২৪ আগস্ট) এ খবর প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর।
২০১৮ সালের আগস্টে ৪৮ বছর বয়সী আল-তালিবকে আটক করা হয়। তবে আটকের সময় কোনো কারণ জানানো হয়নি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর বক্তব্য অনুসারে, সরকারের সমালোচনা করায় তাকে আটক করা হয়। এর কিছুদিন আগেই সরকারের বিনোদন শিল্প দেখভালের দায়িত্বে থাকা সরকারের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটির সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন আল-তালিব।
রক্ষণশীল ইসলামি সংস্কৃতির দেশটিতে সিনেমা ও প্রকাশ্য কনসার্ট বহু আগে থেকেই নিষিদ্ধ। তবে ক্ষমতায় আসার পর তেল সমৃদ্ধ দেশের সংস্কৃতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন সৌদি যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান। এজন্য ‘ভিসন ২০৩০’ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার।
তবে মোহাম্মদ বিন সালমানের এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটি আলেমদের একটি অংশ। তাদের কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই কথা বলতে শুরু করেন। সরকারের সমালোচনা করা ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকজন ধর্ম প্রচারককে আটক করে সৌদি সরকার। তাদের অন্যতম মক্কার মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম আল-তালিব। তিনিও সিনেমা, কনসার্ট ও এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করেছিলেন।
আল-তালিবের কারাদণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সৌদির প্রয়াত সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগি প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও-এর মুখপাত্র আবদুল্লাহ আলাউধ বলেন, ‘সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কৃতি বদলের চেষ্টার বিরুদ্ধে কথা বলায় ইমাম ও মুফতিদের ওপর জেল-জুলুম চলছে আল-তালিবের জেল তারই ধারাবাহিকতা।