চট্টগ্রাম বন্দরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৮ আগস্ট) কনটেইনার ও নানান কার্গো পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে ১১০টি জাহাজ অবস্থান করছিল। এর মধ্যে কনটেইনারবাহী জাহাজ রয়েছে ২৫টি এবং অয়েল ট্যাংকার ১৭টি। অন্য ৬৮টি জাহাজে রয়েছে স্ক্র্যাপ, কয়লা, পাথর, খাদ্যশস্য, সার, সিমেন্ট ক্লিংকার, র’ সুগারবাহী জাহাজ। বুধবার ৪৮টি জাহাজ থেকে এসব কার্গোপণ্য বহির্নোঙরে কার্গো খালাসরত অবস্থায় রয়েছে।
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডব্লিউটিসি আগে থেকে নানান অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়ে। এতে লাইটার জাহাজ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছিল। কিছুদিন আগে ডব্লিউটিসিকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ডব্লিউটিসি সক্রিয় নেই।’
তিনি বলেন, ‘এখন লাইটার ব্যবসায়ীরা আমদানিকারক কিংবা শিপিং এজেন্টের সঙ্গে কোটেশন কিংবা সমঝোতার মাধ্যমে কার্গোপণ্য পরিবহন করছে। এতে লাইটার জাহাজ ব্যবসায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ফলে আগের চেয়ে পণ্য পরিবহন ভাড়া কমেছে। বিশেষ করে আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা সিমেন্ট ক্লিংকার পরিবহন হতো টনপ্রতি ৫৮৩ টাকা হিসেবে। এখন সেই ভাড়া নির্ধারণ করা নেই। এখন কেউ ৪শ টাকা কেউ সাড়ে ৪শ টাকাতেও ক্লিংকার বহন করছে। একইভাবে অন্য কার্গোপণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভাড়া কমেছে।’
ডব্লিউটিসিসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ খান বলেন, ‘আগে লাইটারেজ ব্যবস্থাপনা ছিল ডব্লিউটিসির অধীনে। এতে লাইটারেজ ব্যবসায় একটি শৃঙ্খলা ছিল। এখন সেই শৃঙ্খলা নেই। তবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্তে একটি পরিপত্র হওয়ার কথা।’
লাইটারেজ মালিকরা এখন যে যার মতো করে ভাড়া নিচ্ছেন জানিয়ে ডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা বলেন, এতে লাইটার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ অলস বসে না থেকে অনেকে খরচ পোষানোর জন্য পণ্য পরিবহন করছেন। তাতে পুরো সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মূলত সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের নিবন্ধন দিই। সময়ে সময়ে এগুলো তদারক করি। সাগর থেকে নদীপথে চলাচলকারী কোস্টাল জাহাজগুলো (লাইটারেজ) বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে চলছে। আগে একটি সংগঠন জাহাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো। তবে এখন উন্মুক্তভাবে জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করছে।’
পাঠকের মতামত