ডেস্ক রিপোর্ট::
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের পর আবারো বেড়ে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। বিশেষ করে টেকনাফ সীমান্ত এবং নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখায় এসব দালাল মিয়ানমারের ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। আর এ জন্য জনপ্রতি আদায় করছে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
অযৌক্তিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের পর আবারো দালালদের দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে টেকনাফ সীমান্ত এবং নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখায় এসব দালাল মিয়ামনারের ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। আর এ জন্য প্রতিজন থেকে আদায় করছে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সীমান্তে কড়াকড়ির পাশাপাশি নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখায় দালালরা মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের কিভাবে নিয়ে আসে তারই বর্ণনা দেয় তারা। শুধু নৌকায় সীমান্ত পাড়ি দেয়া নয়, সুবিধাজনক স্থানে রাখারও আশ্বাস দিচ্ছে দালালরা। প্রতি রাতে দালালরা মিয়ানমার থেকে গোপনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায়। আর এ জন্য জনপ্রতি বাংলাদেশী ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
রোহিঙ্গারা জানায়, ‘৫ হাজার টাকা দিয়ে নৌকায় পার হয়েছি।’ ১০ হাজার টাকা না দিলে নৌকায় তুলতো না।’
বর্তমানে প্রশাসন রোহিঙ্গাদের অযৌক্তিক অনুপ্রবেশ বন্ধে কিছুটা কঠোর অবস্থান নেয়ায় এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দালালরা। ইতোমধ্যে টেকনাফে ৩শ ৭০ জন দালালকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েও দৌরাত্ম বন্ধ করা যাচ্ছে না।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, ‘আমরা আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে যাচ্ছি। সাড়ে তিনশো দালালকে সাজা দিয়েছি।’
কক্সবাজার টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা মাঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে টাকা নেয়ার। তাই তাদেরও শাস্তি দেয়া হয়েছে।’ সে সাথে উখিয়া সীমান্ত এলাকায়ও দালালদের তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে।
৩৪ বিজিবি উপ অধিনায়ক মেজর আশিকুর রহিম বলেন, ‘পুলিশ কাজ করছে। আমাদের এই জিরো লাইনে কারো ঠোকার কথা না, তবুও কেউ আসলে ধরে পুলিশের হাতে দেয়া হবে।’ তবে সীমান্তবর্তী এলাকার দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন বিজিবি কর্মকর্তা।
গত ২৫শে আগস্টের পর চলমান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নৌকা ডুবির বিভিন্ন ঘটনায় নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের উপকূল থেকে অন্তত ১শ ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যে কারণে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন নৌকা চলাচল বন্ধ রেখেছে। সুত্র: সময়টিভি
পাঠকের মতামত