![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/28a627104b785379ed97fc8f8d2500c80b61a903a41a6a13.jpg)
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পতাকা বৈঠকে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যেকোন সময়ে দু’দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, দু’দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করার আহ্বান জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীও সম্মতি দিয়েছে তারা পতাকা বৈঠক করবে। এখন সুবিধাজনক সময়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, বিজিবি’র উচ্চ পর্যায়ের কোনো একটি বৈঠক করা যায় কিনা।
পতাকা বৈঠকের উদ্দেশে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, এটি আমাদের রুটিন বৈঠক। এই বৈঠক ওপারের বিএসএফের সঙ্গেও করি। আর মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গেও করি। এ রুটিন বৈঠকে সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা, ম্যানেজমেন্ট ও সার্বিক নিয়ন্ত্রণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐক্য পৌঁছায়। কীভাবে সম্মিলিতভাবে আমরা সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে পারি সে চেষ্টা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি বিজিবি মাদকসহ সব চোরাচালন রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, সীমান্তে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদারের পাশাপাশি জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে সব পর্যায়ে যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, মোবাইল, ই-মেইল ও লিখিতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে যেকোন ব্যত্যয় ঘটলে বা সীমান্তের ওপারে একটা গুলির শব্দ হলেও কিন্তু বিজিবি প্রতিবাদলিপি পাঠায়। সে প্রেক্ষিতে যেকোন নিরাপত্তার ব্যত্যয় যখন হয় বর্ডার চুক্তি, বর্ডার প্রটোকল বা বর্ডার গাইড লাইন অনুযায়ী প্রতিলিপি পাঠায় বিজিবি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তারা বিজিবিকে উত্তর দেয়।
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ চলছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে’
মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে বিজিবি। সীমান্তের ওপার (মিয়ানমার) থেকে ছোড়া প্রতিটি গুলির হিসাব বিজিবির আছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বিজিবি প্রধান সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে তুমব্রু, বাইশপাড়ি ও কোনারপাড়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিজিবির বিশেষ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক বিজিবির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তিনি অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও নির্দেশনা দেন।
সীমান্তের ক্যাম্প ও বিওপি পরিদর্শনকালে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/add1.gif)
পাঠকের মতামত