স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সীমান্তে গোলা আসার ব্যাপারে বিজিবি স্ট্রং প্রোটেস্ট জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মিয়ানমানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আশা করি এই ধরনের গোলাগুলি বন্ধ হবে।’
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) লাইনসে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পরে স্মৃতি জাদুঘরটি ঘুরে দেখেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মিয়ানমারের আরাকান নিয়ে অনেক দিন ধরেই জটিলতা রয়েছে। আরাকানের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আছে। এখন শুনছি, আরাকান আর্মি নামে আরেকটা গোষ্ঠির সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি হচ্ছে। তাদেরকে যখন অ্যাটাক করতে যাচ্ছে, তখন কিছু কিছু গোলা আমাদের এখানে এসে পড়ছে।’
গত ৫ সেপ্টেম্বর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে হামলার শিকার হন দুই সাংবাদিক। এ নিয়ে দুজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিএমডিএ। ঘটনার পর ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও এ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
আজ আরএমপি পুলিশ লাইন্সে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করতে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে বলেন, বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেফতার হননি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি?
এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত না। আমি একটু বাইরে ছিলাম। আমি শুনেছি ঘটনা। তদন্তের আগে বলতে পারবো না। তবে যারা অপরাধ করেছেন নিশ্চয় তারা আইনের মুখোমুখি হবেন। তদন্তের প্রয়োজন। তদন্ত হয়ে নিক, একটু অপেক্ষা করুন।’
পরে মাদক ও জঙ্গিবিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল ও জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।