বাংলাদেশ সীমানার ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রদেশে চলমান সংঘাতের জেরে সেখানে বসবাসরত অবশিষ্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির অনেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে । তারা সংঘাতে অতিষ্ট হয়ে প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে বাংলাদেশে। এরই ধারাবাহিকতায় ছোট ছোট দলে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্ঠাকালে ফেরত পাঠিয়েছে ১১ বিজিবি ও ৩৪ বিজিবি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা।
এ বিষয়ে ঘুমধুমের বাসিন্দা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজা মিয়া বলেন, রোহিঙ্গার অত্যাচার সহ্য করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুপ্রবেশ ঘটলে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন বলেন, অনুপ্রবেশের চেষ্টায় আতংকিত বাংলাদেশীরা। বর্তমানে রাখাইনে সংঘাত চলছে। তাই তারা প্রাণ বাচাঁতে এখানে আসার চেষ্টা করছে।
তবে ১১ বিজিবি আর ৩৪ বিজিবি'র অধিনায়কদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
২০ দিন বন্ধ ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়:
সীমান্তে চলমান সংঘাতে জের ধরে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী ৫ টি সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০ দিন ধরে বন্ধ কয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১১ শ জন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় মন্ত্রনালয়ের অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে এ সব স্কুল সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
গত ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে প্রকট আওয়াজে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের আওয়াজে সীমান্ত জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়লে স্কুল গুলো বন্ধ করা হয় । স্কুল গুলো হলো: দক্ষিন ঘুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকূল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি মাথায় এনে মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে স্কুল গুলো খোলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ-কালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।