গত শনিবার ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বাক্ষী হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম সীমান্তের মানুষ। ভারী অস্ত্র আর গোলাবারুদের মুহুর্মুহু আওয়াজে আতঙ্ক বিরাজ করছিল সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
রোববার ওপার থেকে ভেসে আসনি কোনো গোলাবারুদের শব্দ। আকাশে চক্কর দেয়নি কোনো যুদ্ধবিমানও। সুনশান নিরবতা ছিল দিনভর। তবে কাঁটাতারের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে সেনাদের টহল দিতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের দিকে তাদের ছিল সতর্ক দৃষ্টি।
বাংলাদেশে যৌথ সামরিক কারখানা করতে চায় ভারত
রোহিঙ্গা সংকটে ভারতের মূখ্য ভূমিকা চায় বাংলাদেশ
এর আগে গত শনিবার আকাশ সীমানায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের ভয়াবহ তাণ্ডব দেখেছে এপারের মানুষ। তারা জানিয়েন, ২৮ আগস্টের পর শনিবারও দুটি মর্টার শের এসে বাংলাদেশের অংশে পড়েছে। তাই নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় সবার মাঝে।
শনিবার বিকেলে ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপারি সীমান্ত এলাকায় ওই দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাইশপারি এলাকার সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে দেখা গেছে সেই দিনের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রোববার গোলাগুলির শব্দ না শোনা গেলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। তবে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্রোহী দমনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘর্ষ হলেও একের পর এক ভারী গোলাবারুদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিক্ষিপ্ত হওয়া রাষ্ট্রীয় উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
পাঠকের মতামত