২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বন্দি অবস্থায় থাকা ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সাং সু চির স্বাস্থ্য নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হাইজার।
সোমবার সিঙ্গাপুরে আইএসইএএস ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটে তিনি এ কথা জানান। খবর আল জাজিরার।
হাইজার বলেন, সু চি গত সপ্তাহে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ফলে তাকে অতিরিক্ত তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ গণতন্ত্রপন্থি নেতা নানা অভিযোগে গোপন সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ আদালতে তাকে সব মিলিয়ে ১৭ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, আমি তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং তাকে সশ্রম কারাদণ্ডের যে সাজা দেওয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।
মিং অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে আগস্টে নেপিদোতে হওয়া আলোচনায় তিনি সুচির স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন বলে জানান হাইজার। এ সময় তিনি সুচির সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ৭৬ বছর বয়সি গণতন্ত্রপন্থি এ নেতাকে ঘরে ফিরতে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
১৮ মাস আগে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিলে মিয়ামনার সংকটে নিমজ্জিত হয়। এর পর দেশজুড়ে দেখা দেয় তীব্র বিক্ষোভ। আর তা দমাতে ক্ষমতা প্রয়োগ করে জান্তা সরকার।
দিন দিন মিয়ানমারের পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। কিছু বিক্ষোভকারী হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার মধ্যে গ্রামে গ্রামে বোমা বর্ষণ ও ঘরে ঘরে আগুন দেওয়ার মতো গুরুতর কর্মকাণ্ড শুরু করে সেনারা।
এদিকে জুলাইয়ে সামরিক সরকার তার চার সমালোচকের ফাঁসি কার্যকর করে। যা বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে এমন সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে দুই হাজার ২৬৩ জন নিহত হয়েছেন।