
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলা সংঘাতের কারণে দেশটি থেকে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সুদানি নাগরিক ছাড়াও দেশটিতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করা হাজার শরণার্থীও পালিয়ে যেতে পারে।
ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজউ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সদস্য রাষ্ট্রদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সব সংশ্লিষ্ট সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে, আমরা ৮ লাখ ১৫ হাজার মানুষের একটি পরিসংখ্যানে পৌছেছি, যারা প্রতিবেশী ৭টি দেশে পালিয়ে যেতে পারে।’
মাজউর মতে, সম্ভাব্য এই শরণার্থীদের মধ্যে ৫ লাখ ৮০ হাজার সুদানি। বাকিরা অন্যান্য দেশের শরণার্থী। যারা অস্থায়ীভাবে সুদানে বসবাস করছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে এরই মধ্যে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, এরই মধ্যে এ সংঘাতে মারা গেছেন ৫২৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৯ জন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত শুক্রবার সংঘর্ষ বিরতির মেয়াদ খাতা-কলমে বাড়ানো হলেও খার্তুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে শুরু করে জাতীয় সম্প্রচারক সংস্থার সদর দপ্তর বা সেনা ছাউনি-সব জায়গাতেই সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এমনটা হবে না। কিন্তু সহিংসতা যদি বন্ধ না হয়, আমরা দেখতে পাব আরও বেশি লোক নিরাপত্তার জন্য সুদান থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।’
এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ চাঁদ ও ইউএনএইচসিআরের দেওয়া তথ্যমতে, ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার সুদান থেকে এসে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে। ইথিওপিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে সুদান থেকে আসা ৬ হাজার জন। কেনিয়া কর্তৃপক্ষও বলছে, অনেক সুদানি কেনিয়ায় এসে কানাডার উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। তারা যদিও দৈত্ব-নাগরিক।
সুদানের মধ্যে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সংঘাতে তাদের কর্মী নিহত হওয়ার পর সোমবার (১ মে) অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় অবস্থান নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা
পাঠকের মতামত