[২] পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সুরা বাকারা। এটি সবচেয়ে দীর্ঘ সুরা। এ সুরা পাঠের ফজিলত অনেক। এই সুরার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসি হিসেবে পরিচিত। সূত্র : উইকিপিডিয়া
[৩] এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) কুরআনের কোন সুরা সবচেয়ে বেশি মর্যাদাবান? তিনি বললেন, সুরা ইখলাস। এরপর আবার বললেন, কুরআনের কোন আয়াতটি মর্যাদাবান? তিনি বললেন, আয়াতুল কুরসি। এরপর আবার বলেন, হে আল্লাহর নবী, আপনি কোন আয়াতকে পছন্দ করেন, যা দ্বারা আপনার ও আপনার উম্মত লাভবান হবে। নবীজি (সা.) বললেন, সুরা বাকারার ২৮৫-২৮৬ নম্বও শেষ দুটি আয়াত।
[৪] শেষ দুটি আয়াত নিয়মিত আমল করলে নানা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার পাশাপাশি বান্দার জান্নাতের পথও সুগম হবে।
[৫] সহিহ্ মুসলিমে এ দুটি আয়াতের ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, ‘এ দুটি আয়াত রাসুল (সা.)- কে মিরাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঙ্গে আসমানে দান করা হয়েছে।’
[৬] সুরা বাকারার ২৮৫ ও ২৮৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- তার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে রাসুল তার ওপর বিশ্বাস করে আর বিশ্বাসীরাও। তারা সকলেই বিশ্বাস করে আল্লাহয়, তার ফেরেশতাগণে, তার কিতাবগুলোয় ও তার রাসুলদের ওপর (এবং তারা বলে) 'আমরা তার রাসুলদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। আর তারা বলে, 'আমরা শুনি ও মানি । হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা তোমার নিকট ক্ষমা চাই, আর তোমার কাছেই আমরা ফিরে যাব।"
[৭] আল্লাহ্ কাউকেই তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্বভার দেন না। ভালো ও মন্দ যে যা উপার্জন করবে তা তারই। (তোমরা প্রার্থনা করো) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে অপরাধী করো না । হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে যে ভারী দায়িত্ব দিয়েছিলে আমাদের ওপর তেমন দায়িত্ব দিয়ো না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এমন ভার আমাদের ওপর দিয়ো না যা বইবার শক্তি আমাদেও নেই। আর আমাদের পাপ মোচন করো, আর আমাদেরকে ক্ষমা করো, আর আমাদের ওপর দয়া করো, তুমি আমাদের অভিভাবক। অতএব অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাদের জয়যুক্ত করো।
[৮] সুরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি নিয়ে হাদিসে আরও অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। এ দুটি আয়াতের ফজিলত প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এটাই যথেষ্ট।