সিলেট : কথিত প্রেমিকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত সিলেট মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিস (২৩) ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
ঢাকা স্কয়ার হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস।
তিনি জানান, খাদিজার অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
খাদিজা বেগম নার্গিস ওই কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার বিকেলে সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর পর বদরুল আলম (২৭) তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় অন্যান্য শিক্ষার্থী বদরুলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সিলেট নগরীর শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল মুন্সী বলেন, খাদিজার সঙ্গে বদরুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বদরুল এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খাদিজাকে কুপিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ওসি জানান, বর্তমানে পুলিশ পাহারায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে বদরুল চিকিৎসাধীন। গণপিটুনিতে তিনি আহত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আটক বদরুল আলম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তবে তার বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ।
খাদিজা বেগম নার্গিসের গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার আউশায়। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী মাসুক মিয়ার মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে সিলেট নগরীর জালালাবাদ এলাকায় বসবাস করেন তিনি।
অন্যদিকে, বদরুলের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইগাতি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।