কিছুদিন আগে সেক্স নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগে গোয়া থেকে এক অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেছিল ভারতের পুলিশ। তবে ওই অভিনেত্রীকে পুলিশ চিনতেই পারেনি।
পরে অবশ্য ছাড়া পেয়েছেন ওই অভিনেত্রী। তিনি বর্তমানে একটি নামকরা গোয়েন্দা সিরিয়ালে অভিনয় করছেন।
অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতেই এই পথে নেমেছিলেন ওই অভিনেত্রী।
তবে অভিনেত্রীদের সেক্স নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কিছু অভিনেত্রী এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছেন।
জেনে নিন তাদের কথা-
সায়রা বানু: ২০১০ সালে সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য গ্রেফতার হন তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী সায়রা বানু। হায়দরাবাদের বেগমপত এলাকার স্প্রিংগ হেভেন অ্যাপার্টমেন্টে একটি সেক্স র্যাকেটের পর্দা তুলবার জন্য যখন পুলিশ হানা দেয় তখন সেখান থেকেই গ্রেফতার হন তিনি।
কিন্নেরা: সিনেমায় খুব বেশি কাজ করেননি কিন্নেরা। গোটা দু’য়েক তেলেগু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তিনিও তলে তলে সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন।
সর্বাণী: সর্বাণী তেলেগু টেলিভিশন অভিনেত্রী। সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে মাধাপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় বছর বয়সী এ অভিনেত্রীকে।
মিষ্টি মুখোপাধ্যায়: এই বাঙালিনী মুম্বাইয়ে ‘ম্যায় কৃষ্ণা হুঁ’, কিংবা ‘লাইফ কি তো লগ গই’-এর মতো কিছু অসফল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ২০১৪ সালে পুলিশ তাকে তার ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করে। অভিযোগ ছিল, মিষ্টি তার দাদা ও বাবার সঙ্গে মিলে নিজের ফ্ল্যাটে পর্ন ফিল্ম বানাচ্ছেন।
ভুবনেশ্বরী: দক্ষিণ ভারতের সফট পর্ন ছবির নামকরা নায়িকা। চেন্নাই থেকে পুলিশ তাকে যৌন ব্যাবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে।
আইশ আনসারি: তামিল সিনেমার নামকরা আইটেম গার্ল আইশ আনসারি। তাকে যোধপুর থেকে গ্রেফতার করে। সারা ভারতের বিভিন্ন নামজাদা শহরেই নিজের ‘সার্ভিস’ দিয়ে বেড়াতেন আইশ।
শ্বেতা প্রসাদ: ‘মকড়ি’ সিনেমায় শিশু চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছিলেন শ্বেতা প্রসাদ। পরে দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছিলেন। বানজারা হিলসের পার্ক হোটেলে যখন হায়দরাবাদ পুলিশ রেড করে তখন মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাও গ্রেফতর হন।
সুকন্যা: দক্ষিণী সিনেমার নামজাদা অভিনেত্রী। তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম, কন্নড় ভাষার সিনেমায় অনেকদিন থেকেই অভিনয় করছেন তিনি। চেন্নাইয়ের একটা বিলাসবহুল হোটেলে সেক্স নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।