ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ডুবে গেছে। ওসব গ্রামের দুই শতাধিক বাসিন্দা দ্বীপের মাঝারপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত টেকনাফ উপকূলের ১৫ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্বীপের বাজার এলাকাসহ কয়েকটি গ্রাম ডুবে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় কোন দিকে কি হচ্ছে বোঝা মুশকিল। কয়টি গ্রাম ডুবে গেছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। আমার এলাকার অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। যতটুকু সম্ভব সবদিকের খোঁজখবর রাখছি।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এরফানুলক হক চৌধুরী বলেন, ‘জোয়ারের কারণে ব্যাপকহারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের আশপাশের গ্রামে পানি ঢোকায় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া মেরিন-ড্রাইভ সড়কের সাবরাংয়ের দিকে পানি ঢুকছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা।