বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন দেড় শতাধিক পর্যটক। এ ছাড়া জাহাজ না ছাড়ায় ভ্রমণে আসা সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারেননি।
বৈরি আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় শুক্রবার টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন যায়নি। ফলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা ফিরতে পারছেন না।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগর নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর সংকেত বহাল রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগর ও নাফ নদীতে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তবে আটকাপড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ।
তিনি জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মধ্যে দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, গত দুই আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে শুধু মাত্র কেয়ারি সিন্দাবাদ পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া দেড় শতাধিক পর্যটক সেখানে আটকা পড়ে। তাছাড়া দ্বীপে ভ্রমণে আসা সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে ফেরত গিয়েছে। জাহাজ চলাচল শুরু হলে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হবে।
পর্যটক মো. ইসহাক ও মো. হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকালে পরিবার নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য খুব সকালে টেকনাফে পৌঁছি। এরপর দেখা যায় দমদমিয়া জেটি ঘাটে জাহাজ নোঙরে রয়েছে। পরে জানতে পারি বৈরি আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ সেন্টমার্টিন যাচ্ছে না। দ্বীপে যেতে না পেয়ে আবার কক্সবাজার ফিরে যেতে হচ্ছে।
এ সময় আরও সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য এসেছিলেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন খান বলেন, সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল করতে না পারায় তারা টেকনাফ ফিরতে পারেনি।
টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।