বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়েছিলেন চার শতাধিক পর্যটক। তবে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় সেন্টমার্টিন-টেকনাফে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজ তিনটি দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। তারা সন্ধ্যায় নিরাপদে টেকনাফে ফিরেছেন।
জাহাজ চলাচলের বিষয়টি জানিয়ে জাহাজ মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। সকালে তিনটি জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার বিকেলে আটকেপড়া পর্যটকদের নিয়ে টেকনাফ ফিরেছেন জাহাজগুলি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বেলা ১১টার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচলে কোনো বাধা নেই। প্রতিদিন সাড়ে নয়টায় ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার দেরি করে ছেড়েছে। টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া ৭০০ জন, আটলান্টিক ক্রুজ ৩৪০ জন ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ২৬৩ জন পর্যটক নিয়ে ছেড়ে গেছে। জাহাজ তিনটি দুপুরে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এসব জাহাজে করে আটকা পড়া পর্যটক সহ অন্যান্যদের নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজ ৩টি টেকনাফে ফিরেছে। এরপর পর্যটকরা স্ব-স্ব গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন। এখন থেকে স্বাভাবিকভাবে জাহাজ চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে এ নৌপথে তিনটি জাহাজ চলাচল করছে। পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় গ্রিন লাইন-১, ভাষা শহীদ সালাম, এস টি সুকান্ত বাবু ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের আরও চারটি পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দ্বীপে পর্যটক আটকে পড়ার কথা জানিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বেড়াতে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে আটকে পড়েছিলেন সাড়ে চার শতাধিক পর্যটক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা টেকনাফে ফিরে গেছেন