কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব খানের সঞ্চালনায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে “পরিবেশ সংরক্ষণে পর্যটনের ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে ইউএনডিপি।
১৭ মার্চ শুক্রবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় কর্মশালা শুরু হয়।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন অধিদপ্তরের সম্মানিত উপ-সচিব সাইফুল হাসান।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। দ্বীপকে নিজের বাড়ির মত পরিস্কার পরিচন্ন রাখতে হবে। পরিবেশ বান্ধব হোটেল মোটেল নির্মাণ করতে হবে। দ্বীপে পরিবেশের ক্ষতি হয় এধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। আমি দ্বীপের অনেক জায়গা ঘুরে দ্বীপকে পরিস্কার পরিচন্ন দেখতে পেয়েছে। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কার্যকরী কমিটি এবং উপজেলা জেলা প্রশাসনসহ ইউনডিপি প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতেও এইভাবে দ্বীপকে পরিস্কার পরিচন্নতা বজায় রেখে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এসময় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুজিবুর রহমানকে স্পেশাল ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযান পরিচালনায় তার অগ্রণী ভুমিকার রয়েছে।
আগামী ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যাবতীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন উপসচিব হাসান। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্টমার্টিন নিয়ে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে আপনাদের সহযোগীতা চাই। টেকশয় পর্যটন শিল্প বিকাশে সকল দ্বীপবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প ভবিষ্যতে আমাদের প্রধান আয় রোজগারের দরজা খুলে দিবে এমনটাই মনে করেন কর্মশালার প্রধান অতিথি।
এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইউএনডিপি কতৃক পরিচালিত সকল কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে আহবান করেন ইউএনডিপি’র এক্সেলেটর ল্যাব প্রধান জনাব রমিজ উদ্দিনকে (পিএইচডি)।
রমিজ উদ্দিন (পিএইচডি) বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবর্তনে স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো বিকল্প নেই। আপনাদের সহযোগিতা সাথে থাকলে আগামী ৩ বছরে সেন্টমার্টিনের চেহারা পাল্টে যাবে। দ্বীপ পরিষ্কারের পাশাপাশি আমরা অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি যেমন, দ্বীপের চারিপাশে প্রায় ৫ লক্ষাধীক গাছ লাগাবো, দ্বীপের শিক্ষিত ছেলেমেয়ে নিয়ে ভিবিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নারীদেরকে হস্তশিল্পে তৈরি পণ্য রপ্তানিতের সুযোগ সৃষ্টি হবে এমনটাই মনে করেন ইউএনডিপি এক্সেলেটর ল্যাব প্রধান রমিজ উদ্দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মৌলানা ফিরোজ আহমেদ খান, টুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিধি, ইউপি সদস্য জনাব মোহাম্মদ জোবাইর, আল নোমান ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ সৈয়দ আলমসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্তমানে ইউএনডিপি কতৃক সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিচালিত হচ্ছে, মিনি গার্মেন্টস, কাতারী টুপি তৈরি প্রশিক্ষণ, পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযান ও ইয়ুথদের জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
ইউএনডিপি’র অর্থনৈতিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষন দ্বীপের নারী পুরুষদের স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এমনতাই মনে করছে দ্বীপের স্থানীয় জনগোষ্ঠীরা।
পাঠকের মতামত