সেন্টমার্টিন দ্বীপের অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণে অব্যবস্থাপনা সত্যিই উদ্বেগজনক। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর সেন্টমার্টিন দ্বীপের অবস্থা কি পর্যায়ে যাবে তা চিন্তারও বাইরে। কোনো পর্যটক এখানে আসবে কিনা সন্দেহ। বর্তমানে দ্বীপের সর্বত্রই যেন হ য ব রল অবস্থা, অপরিকল্পিত স্থাপনা। এরকম অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে সেন্টমার্টিন দ্বীপ দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে একটি পরিকল্পিত এবং পরিবেশ বান্ধব পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ করার জন্য সংসদীয় কমিটি সরকারকে জানাবে।
ব্রিফিংয়ে র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী বলেন, ২৫ বছর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অবস্থা এ রকম ছিল না। তখন অনেক গোছানো ছিল। তিনি জানান আগামী দিনের সেন্টমার্টিন দ্বীপ গড়ে তুলতে হবে প্রকৃতির সমন্বয়ে পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে।
শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রথমবারের মতো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী।
এসময় সংসদীয় কমিটি সেন্টমার্টিন দ্বীপে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপের তথ্য সেবা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী।
সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক, বেগম কানিজ ফাতিমা আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাম্মেল হোসেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিজুর রহমান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, সাবেক দুই এমপি আব্দুর রহমান বদি, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
পরে সভাপতি কমিটির সভা মুলতবি ঘোষণা করেন। রোববার দুপুরে কক্সবাজারে এই মুলতবি সভা অনুষ্ঠিত হবে