সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেছে মৌলভী আব্দুর রহমান।
মামলায় অভিযুক্ত আসামি হলেন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব ও প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ৩ অক্টোবর রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা রুজু করার জন্য এজাহার দায়ের করেন। ৪ অক্টোবর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করেন যার মামলা নং ১১।
মামলা বাদী মৌলভী আব্দুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, আমার ১ম কন্যা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের অধ্যয়নরত ছাত্রী, ২য় কন্যা আনোয়ার খাঁন মডার্ন মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী এবং ছেলে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের ছাত্র। আমার ২ কন্যা ও এক ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকায় আমার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্যানেল চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় আমার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের উপর ক্ষিপ্ত হইয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা করে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করেন।
চলিত বছরে গত ২৪ জুলাই সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামালের নেতৃত্বে আমার ছেলে-মেয়ে এবং ভাতিজা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো বিধায় আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় সিদ্ধান্তে ছেলে-মেয়ে দেরকে আন্দোলন থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে আসামীরা আমাকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি প্রদান করেন।
তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করে বলেন, বিগত ৯ আগস্ট বাড়ি হইতে হেঁটে সেন্টমার্টিন মাঝের পাড়া জনৈক সরওয়ার এর বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর পৌছলে মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান নির্দেশনায় পকিল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড, তার ও পাইপ দিয়া এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। হত্যা উদ্দেশ্যে বীচে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বাজন ও পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।
টেকনাফ মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিন কোনা পাড়া এলাকার মৌলভী আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় একটি মামলা রুজু করেন
পাঠকের মতামত