গভীর সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে কক্সবাজার টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে ৩নং সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর ফলে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে বুধবার বিকাল থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ডানা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে টেকনাফ উপজেলা উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বিকেল থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হওয়ার পর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন টেকনাফ উপকুলীয় এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সাইফুল আলম সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। শুরুতেই বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল এরপর আস্তে আস্তে বাতাসের গতিবেগ কমে আসে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় উক্ত নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসলেই পূণরায় নৌযান চলাচল শুরু হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আদনান চৌধুরী সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার বিকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ৩ং সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান আসা-যাওয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া উপকুলীয় এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র গুলো খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আতঙ্কে থাকা মানুষ গুলোর খোঁজ খবর রাখার জন্য স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা