প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে সেন্টমার্টিনে সাগরপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আগে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যেতে ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যেত; কিন্তু এখন লাগছে ৩ ঘণ্টা। এতে সময়-খরচ দুটোই কমেছে।
এ ছাড়া জাহাজ চলায় জেলার পর্যটন শিল্পে নতুন একটি দ্বারও উন্মোচন হয়েছে।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ওই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়; এর মাধ্যমে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে সময় ও খরচ দুটোই কমলো। নৌবাহিনীর এই জেটিতে ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাথুরে সৈকত ইনানী, উপকূলে আছড়ে পড়ছে স্বচ্ছ নীল জলরাশি। সাগরের চারদিকে নীল আর নীল। এই নীল জলে ভাসছে পর্যটকবাহী জাহাজ; যা প্রথমবারের মতো এসেছে ইনানী সৈকতে। ইনানী সৈকতের নীল জলরাশিতে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন জেটি; যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১ কিলোমিটারের কাছাকাছি। ওই নীল জলরাশিতে দেখা মিলছে ডিঙি নৌকার খেলা।
পর্যটক আরিফ আহমেদ বলেন, ইনানী টু সেন্টমার্টিন জাহাজে প্রথম যাত্রা খুবই ভালো লাগছে, আরও বেশি ভালো লাগছে প্রথম যাত্রী হতে পেরে।
হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় জাহাজটি প্রথমবারের মতো ইনানী থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রথম দিন জাহাজটি ১৩৯ জন পর্যটক যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়াও জাহাজ সংশ্লিষ্ট, প্রশাসনিক লোকজন যারা জাহাজটি প্রথম যাত্রা নিরাপদ কিনা দেখেন এমন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা ছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সেন্টমার্টিনে গিয়ে পৌঁছায় জাহাজটি। দ্বীপ থেকে এটি বিকাল ৩টায় রওনা হয়েছে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইনানী জেটিতে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, এই জাহাজটি ৭৫০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। জাহাজটিতে দ্বীপে আসা ও যাওয়ার ক্ষেত্রে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা। পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভ হয়ে সমুদ্র উপভোগ করে সকালেই সমুদ্র পথে যাত্রা দেবেন প্রবাল দ্বীপে। সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। ফেরার সময় উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্তের দৃশ্য; যা পর্যটকদের আলাদা আনন্দ দেবে।
কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ বলেন, শুধু সেন্টমার্টিন নয় এখন থেকে জাহাজ কুয়াকাটা, হিরণ পয়েন্ট, মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর যাবে। এ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের পুরো এলাকা জাহাজে করে ভ্রমণ করা যাবে। অনেকগুলো দ্বীপ রয়েছে এগুলোতেও ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
ইনানী থেকে সেন্টমার্টিন প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক যাত্রা হলেও আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিনই যাত্রা করবে পর্যটকবাহী এ জাহাজ।
পাঠকের মতামত