সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপনে অনুমতির দাবিতে কক্সবাজারে ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একদল লোক। এ সময় ওই এলাকায় থাকা পর্যটকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা নিজেদের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা বলে দাবি করলেও কক্সবাজারের পরিবেশবাদীদের দাবি, সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করা আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নয়, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের ভাড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন সমকালকে বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জেলা প্রশাসক বসেছিলেন। তাদের দাবি-দাওয়া উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বৈঠকের পরপরই আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ পুনর্বিবেচনা চাই। তবে এভাবে রাস্তা বন্ধ করে পর্যটকদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটে লোক এনে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। মূলত কিছু হোটেল মালিক এ আন্দোলনের উসকানি দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের উসকানিমূলক পরিকল্পিত আন্দোলন কক্সবাজারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শুধু তাই নয়, এতে কক্সবাজারে পর্যটক কমে যাচ্ছে।