টেকনাফ থেকে সিমেন্ট ও বালি ভর্তি দুটি বড় ফিশিং ট্রলার সেন্টমার্টি যাওয়ার কথা বলে শাহপরীরদ্বীপের পূর্বে মিয়ানমারে সিমেন্ট গুলো নামি দিয়ে ফেরার পথে আটকে পড়ে। ট্রলার দুটির মাঝে হলেন, আব্দুর রহমান ও মোস্তাক।
আটকে পড়া ট্রলার দুটির মালিক হলো, সেন্টমার্টিন এর বাসিন্দার টেকনাফ সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগির বলেন, টেকনাফ সদর কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে কেরনতলী খাল থেকে বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদের মালিকানাধীন ট্রলার এসবি আশিক ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের মালিকানাধীন ট্রলার এসবি ফারুক সিমেন্ট ভর্তি সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়া কথা বলে শাহপরীরদ্বীপের পূর্বে মিয়ানমারে সিমেন্ট গুলো পাচার করে ফেরার পথে আটকে পড়ে। বর্তমানে ট্রলার দুইটি মিয়ানমার সীমান্তে আটকে রয়েছে। প্রশাসন মালিকপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সেন্টমার্টিনের একটি শ্রেণি বিভিন্ন কৌশলে সেন্টমার্টিনে মালামাল নিয়ে যাবার কথা বলে মিয়ানমারে পাচার করে থাকে। এসব পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
টেকনাফ কেরনতলী খালে দায়িত্বে থাকা আলম বলেন, ১০ নভেম্বর কেরনতলী খাল থেকে আব্দুর রহমান ও মুস্তাক মাঝি বালি এবং সিমেন্ট নিয়ে দুইটি ট্রলার সেন্টমার্টিনে উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সেটি কোথায় গেছে এবং কোথায় আছে আমার জানা নেই।
সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির লাইনম্যান মোঃ করিম বলেন, সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি আব্দুর রহমান ও মোস্তাক মাঝি টেকনাফ থেকে সিমেন্ট ভর্তি দুটি ট্রলার মিয়ানমারে আটকে আছে। তারা এখনো সেন্টমার্টিনে ফিরে আসে নাই।
টেকনাফ সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতি সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আপাতত আপনি নিউজ করিয়েন না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানাচ্ছি।
টেকনাফে ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, কেরনতলী খাল থেকে বাংলাদেশী দুটি ট্রলার সেন্টমার্টিনে মালামাল নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিয়ানমারে অভ্যন্তরে মালামাল গুলো পাচার করে উদ্দেশ্যে যেয়ে চরে আটকে পরে। বিষয়টি জানার পর আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করে ট্রলার দুটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত