উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯/১০/২০২৩ ২:৫৫ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিনে কোরাল জালে ধরা পড়েছে ১০টি পোপা মাছ। জেলে এর দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা।

সোমবার ভোররাত ৩টার দিকে সেন্ট মার্টিন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি গণি’ ফিশিং ট্রলারের মাঝিদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।

পরে সকাল ৮টার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছ দেখতে ভিড় জমান পর্যটকসহ উৎসুক মানুষ। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত।

মাছ ধরার খবর পেয়েছেন জানিয়ে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যে কারণে এ মাছের দাম অনেক বেশি।”

টেকনাফের ফিশারি ঘাটে ট্রলারের মাঝি ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে সাগরে জাল ফেলেছিলেন তারা। ভোররাতে জাল টানতে গিয়ে দেখেন বড় বড় সব কালা পোপা মাছ আটকা পড়েছে।

ট্রলারের মালিক আব্দুল গণি বলেন, “কোনো কোনো মাছের ওজন ১২ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত আছে। ১০টি মাছের দাম চাইছি ২০ লাখ টাকা। তবে টেকনাফের ব্যবসায়ীরা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছেন।

“আমি বিক্রি করিনি। ভালো দামে বিক্রির আশায় মাছ ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাচ্ছি”, বলেন গণি।

আব্দুল গণির ট্রলারে বেশ কয়েক বছর ধরেই পোপা মাছ পড়ছে। এতে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, “জেলে গণি খুব ভাগ্যবান মানুষ। প্রতি বছর কয়েকটি করে এই পোপা মাছ পাচ্ছেন তিনি।” সুত্র: বিডিনিউজ

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ টেকনাফ

পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও বনভোজন সম্পন্ন

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম ডিগলিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও বনভোজন ...

বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইন বন্ধ হওয়ার শঙ্কা

পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রামের রেললাইন চালু হওয়ার আগেই একবার পাহাড়ি ঢলে বেঁকে গিয়েছিল। কিন্তু ...