জলদস্যু বতল্যা বাহিনী প্রধান সরওয়ার হোসেন বতল্যার লাশ জন্মস্হান সোনাদিয়ায় দাফন করতে দেয়নি দ্বীপবাসী। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর বতল্যা ও সহযোগী অপর ডাকাত বার্মাইয়া ইলিয়াছের লাশ সারাদিন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পড়ে রয়েছিল। সূত্রে প্রকাশ, শহরের পেশকার পাড়া নিবাসী তার আত্নীয়রা ঐ দিন সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে সোনাদিয়ার উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিন্তু এ খবর পেয়ে সোনাদিয়ার সর্বস্তরের জনগন নৌঘাটে সমবেত হয়ে বতল্যার লাশবাহী বোট ভিড়তে দেয়নি। এরপর রাতে পৌরসভার সমিতিপাড়া কবরস্হানে লাশ দাফন করার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু সেখানেও এলাকাবাসীর বাঁধায় লাশ দাফন করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে গভীর রাতে গোপনে অজ্ঞাতস্হানে বতল্যাকে কবরস্হ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই রাত নয়টায় সোনাদিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন স্হানে আওয়ামীলীগ নেতা নাগু মেম্বারকে গুলি করে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সরওয়ার বতল্যা ও তার দলবল। সোনাদিয়া পূর্বপাড়ার ইমন চৌধুরী বলেন, পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত বতল্যা ও তার বাহিনী সোনাদিয়ার মূর্তিমান আতংক ছিল। সাগরে জলদস্যুতার পাশাপাশি এলাকায়ও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত তারা। তাদের কারনে দ্বীপবাসী শান্তিতে ঘুমাতে পারতনা। একই এলাকার রিয়াজ বলেন, জলদস্যু বতল্যা ও তার ডাকাত বাহিনীর কারনে সোনাদিয়ার বদনাম হচ্ছিল, এখন থেকে এর অবসান হবে। হত্যা, ডাকাতি ও মানবপাচারসহ ডজনাধিক মামলার পলাতক আসামী জলদস্যু নবাব মিয়া, মনজুর, ছৈয়দ, খলিল, দুদু মিয়া এবং হাশেমসহ বতল্যা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। এদের গ্রেফতার ও অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করার দাবী জানিয়েছেন সোনাদিয়াবাসী।