[caption id="attachment_94060" align="alignleft" width="712"] সৌদি আরবের মদিনায় নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করছেন ড. শায়েখ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস। [/caption]বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সৌদি আরবে আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান ড. শায়েখ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস। সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শায়েখ সুদাইসের ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা মসজিদে নববীর অধিদপ্তরও তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জমজমের পানি বিতরণ করছেন।
সম্প্রতি মদিনা সফরকালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করেন হারামাইনের প্রেসিডেন্ট শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস।
উল্লেখ্য, জমজম মক্কার মসজিদুল হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩৮ গজের। হজ ও উমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন।
সাহাবি হযরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ কোনো কোনো হাদিসে জমজমের পানিকে ‘রোগীর ওষুধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। সুনানে তিরমিজির এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে, জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নববী সুন্নত।
জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো- দোয়া করা। হযরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ বিখ্যাত বুজুর্গ ও মনীষীরা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আজ বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৯ জন। এই ভাইরাসে ১৭ জন বাংলাদেশিসহ সর্বমোট মারা গেছেন ৭৩ জন। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮৮৯ জন।