স্কুল-কলেজে আরও ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বর্তমান ছুটি শেষে এটি আরও বাড়ানো হতে পারে। আগামী মঙ্গলবারের (২৫ আগস্টের) পর এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে। নতুন করে আরও ১৫ দিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত সচিব সোমবার (২৪ আগস্ট) জাগো নিউজকে বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান ছুটি শেষ হবে। ছুটি শেষ হলে এটি আরও বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবসহ বিভাগীয় প্রধানদের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) চলমান পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
নতুন করে আরও ১৫ দিন ছুটি বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গতকাল রোববার (২৩ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা খুব কম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলা হবে না। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করে ২৫ আগস্টের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, এ বছর পিইসি বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে নাকি স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে- এমন প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই দ্রুত সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া স্কুল খুললে কীভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া হবে সে ব্যাপারে নীতিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রেখে বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনায় করণীয় বিষয়ক বিভিন্ন নিদের্শনা তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাস্ক, হাত পরিষ্কার এবং থার্মোমিটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক রাখাসহ অর্ধশত নির্দেশনা থাকছে। সুত্র: জাগো নিইজ