বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্টার জলসার সিরিয়ালের সুবাদে দারুণ জনপ্রিয় মধুমিতা চক্রবর্তী। এদেশে সবাই তাকে চেনে পাখি নামেই। পাখি ড্রেস কিনে না দেওয়ার জন্য তো আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ‘পাখি’-খ্যাত এই তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা চক্রবর্তী এবার অভিনয় করছেন বাংলাদেশের টেলিফিল্মে।
অভিনয়শিল্পী মোশাররফ করিমের সঙ্গে জুটি হয়েছেন কলকাতার মধুমিতা চক্রবর্তী। টেলিফিল্মটির নাম ‘মেঘবালিকা’। মহিউদ্দীন আহমেদ রচিত এই টেলিফিল্মটি পরিচালনা করছেন পারভেজ আমিন। এতে আরও অভিনয় করছেন রাশেদ শাওন। এটি প্রাযোজনা করছে মেঘবৃষ্টি টেলিফিল্মস।
ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালিতে টেলিফিল্মটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যাবে, ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালিতে বেড়াতে যায় দুই বন্ধু ইমরান ও মোকাররম। যাওয়ার পথে গাড়ির জানালা দিয়ে দেখতে পায় ব্রিজের উপর থেকে একটি মেয়ে পাহাড়ি নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়েই হিরো হয়ে যায় ইমরান। মেয়েটির নাম শ্রেয়শ্রী।
বাবার অমতে প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে পালালেও প্রেমিক যথাস্থানে উপস্থিত না হওয়ায় বিপদে পড়ে যায় শ্রেয়শ্রী। ফলে সে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যা করার। এদিকে ইমরানের বন্ধু মোকাররমের কাছ থেকে পাসপোর্টের ব্যাগ হারিয়ে যায়। হোটেলের রিসিপসনে অনেক অনুনয় করে ইমরান হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে।
অন্যদিকে একমাত্র মেয়ের অনুপস্থিতিতে শয্যাগত বাবা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। যে ব্যক্তি শ্রেয়শ্রীকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেবে সে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পাবে। মোকররম বিজ্ঞপ্তি দেখে ইমরানকে দেখায় এবং মেয়েটিকে চিনতে পারে। এমন একটি অভিনব বিজ্ঞাপন দেখে ইমরানের লোভ হয় এবং শ্রেয়শ্রীকে তার বাবার কাছে ফেরানোর জন্য মাঠে নেমে পড়ে দুই বন্ধু।
ঠিক সেই মুহুর্তে হোটেলের লবিতে তারা মেয়েটিকে দেখতে পায় এবং ইমরান মেয়েটির পিছু নেয়। ঘটনাচক্রে মেঘবালিকা শ্রেয়শ্রীর মনে জায়গা করে নেয় ইমরান। এরপর কি টাকার জন্য শেষ পর্যন্ত শ্রেয়শ্রীকে তার বাবার কাছে ফেরত দেবে ইমরান? এর উত্তর পেতে দেখতে হবে টেলিফিল্মটি।
আসছে ঈদুল আযহায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এটি প্রচার হবে।
দ্য রিপোর্ট
পাঠকের মতামত