চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় তার স্বামী এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, এসপি বাবুল আক্তারকে স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তিনি নজরদারির মধ্যেও নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দু’জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের চিহ্নিত করতেই এসপি বাবুল আক্তারকে নেয়া হয়েছিল।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষে এ মামলার বিস্তারিত জানা যাবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরের দিন বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন।
স্ত্রী খুন হওয়ার পর থেকে দুই শিশু ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রাজধানী ঢাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পুলিশের ওসি হিসেবে অবসরে যান। বাবা আবদুল ওয়াদদু মিয়াও পুলিশে চাকরি করেছেন।
গত শনিবার সকালে শ্বশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যান খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন।’
তিনি বলেন, ‘আইজি সাহেব দেখা করতে বলেছেন বলে বাবুলকে ওরা নিয়ে গেল। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। যারা নিয়ে গেল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’
রাতে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে এসপি বাবুলকে বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। এরপর থেকেই বাবুল আক্তার পুলিশের কড়া নজরদারিতে রয়েছেন বলে চাউর হয়।
পাঠকের মতামত