মহোদয়,
আমরা পালংখালী ইউনিয়নের প্রাচীন জনপদ রহমতের গ্রামের বাসিন্ধা।
রহমতের বিল গ্রামের থাইংখালী খালের অংশে অবৈধ এবং বেআাইনি ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে মারাত্বক ভাবে নদী ভাঙগনের কবলে পড়ছে যা এই এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় করছে,এছাড়া ইদানিং কালে উক্ত স্থানীয় প্রভাবসালী চক্র আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে পাহাড় কেটে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে রহমতের বিল -থাইংখালী সড়ক দিয়ে ট্রাক,ডাম্পারের মত ভারি যানবাহনের মাধ্যমে উক্ত বালি এবং পাহাড় কাটা মাটি পরিবহনের কারনে সড়কটি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে যান বাহন চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য এই সড়ক ব্যাবহার করে সাধারন জনগন ছাড়া ও প্রতিদিন প্রায় শতাধিক স্কুল,কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী যাতায়ত করে।খারাপ রাস্তার কারনে স্হানীয় টমটম চালকরা এই সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করার কারনে ছাত্রছাত্রী, অফিসগামী চাকুরিজীবি,এবং বয়স্ক সিনিয়র সিটিজেনরা মারাত্বক অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে।এছাড়া ও ঝুকিপূর্ণ সড়কে টমটম চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারনে এই এলাকার রহমতের বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তে দুরদুরান্ত থেকে অনেক লোকজন মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে এসে খারাপ রাস্তায় গাড়ি নিয়ে এসে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। অবস্থা এতই খারাপ অবস্থায় পৌছেচে যে এলাকার ছেলে মেয়েদের বিয়ের সম্মন্ধ আসলে খারাপ যাতায়ত ব্যাবস্হার কারনে নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিচ্ছে। আমরা মনে করি এই রাস্তার খারাপ অবস্থার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দায়ী নয়,এর জন্য দায়ী কিছু বালি এবং মাটি দস্যুদের অবৈধ ব্যাবসা অনেকাংশে দায়ী। এমতাবস্হায় অনতিবিলম্বে রহমতের বিল থাইংখালী সড়কে বেআইনি ভাবে বালি,মাটি পরিবহন বন্ধ করে সড়কের যথাযথ সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সচেতন গ্রামবাসির পক্ষে
হোছাইন মাহমুদ আরাফাত।
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব উখিয়া নিউজ- এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য উখিয়া নিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।