কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের হারিয়ে যাওয়া ফ্লাইট-৩৭০ বিমানটির গভীর সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন নিহত যাত্রীদের স্বজনরা।
বিমানটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এ অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারে সদস্যরা।
স্বজনরা বলছেন, গভীর সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান মহাসাগরের উত্তরাংশে আরো ৯,৬৫৩ বর্গ মাইল এলাকা পর্যন্ত প্রসারিত করা উচিৎ। যা গত ডিসেম্বরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থাকার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
২০১৪ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাবার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। এ পর্যন্ত ২০টি টুকরো বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে সাতটি টুকরোকে নিখোঁজ বিমানের বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানটির নিহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন ‘ভয়েস-৩৭০’ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা মনে করি, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে অনুসন্ধান এলাকা আরো প্রসারিত করা উচিৎ এবং এটা একটি অবশ্যম্ভাবী দায়িত্ব।’
এতে আরো বলা হয়, ‘কোন ধরনের অস্তিত্ব ছাড়াই একটি বাণিজ্যিক প্লেন অদৃশ্য করার বিষয়টি কোনমতেই অনুমোদন করা যাবে না।’
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং চীনের তরফ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত মহাসাগরে এক লাখ বিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা তল্লাশি করার পরেও নিখোঁজ সে বিমানটির কোন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। সেজন্য অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে তল্লাশি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নিহত যাত্রীদের একজন স্বজন গ্রেস নাথান এ সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে অবিলম্বে তা স্থগিত করার আহ্বান জানান এবং একই সঙ্গে নতুন নতুন এলাকায় এর অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো অনুরোধ করেন। গ্রেস নাথানের মা ওই বিমানটির একজন যাত্রী ছিলেন।
নাথান বলেন, ‘বিমানটিতে আসলে কি ঘটেছিল তা আমরা এখনো জানি না। তল্লাশি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত একটি খারাপ নজির স্থাপন করবে। এছাড়াও এটি জবাবদিহি ও দায়িত্ববোধের বিষয়।’
সূত্র: ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল