বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী, দল, ধর্ম বা কোন সম্প্রদায়ের নয়। বাংলাদেশ সতেরো কোটি মানুষের। কোন ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে আমরা বিভক্তি চায় না। আমরা চায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণে এদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার তিপ্পান্ন বছরে যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা দেশের মানুষ কে শান্তি – সমৃদ্ধি ও মুক্তি দিতে পারেনি বরং বড়রা বড় হয়েছে দরিদ্ররা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে। যার কারণে সমাজে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষকে সত্যিকারের বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের মানুষ কে দুর্নীতি ও দুঃশাসন দিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচার কায়েম করেছিল। অবশেষে ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে চোরের মতো করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এদেশের মানুষ আর কোন স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চায় না। দেশে যদি আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসতে চায় তাহলে এদেশের লক্ষ-কোটি তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী উখিয়া উপজেলা রাজা পালং ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জননেতা এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল ফজল, নায়েবে আমীর মাওলানা নূরুল হক, সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান আহমদ। ইউনিয়ন সহ- সেক্রেটারি জহির আহমদ ও এনামুল কবির সুজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন রাজা পালং ইউনিয়ন আমীর রুহুল আমীন, পালংখালী ইউনিয়ন আমীর আবুল আলা রোমান, রাজা পালং ইউনিয়ন সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইউনূস, পালং খালী ইউনিয়ন সেক্রেটারি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে উখিয়ায় শাহপুরী হাইওয়ে থানার উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং সভা ...
পাঠকের মতামত