প্রকাশিত: ০২/০৮/২০১৬ ৯:৩৬ পিএম

gomatali roadসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) , কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী সড়কের ছাল চামড়া উঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কাদাপানিতে বিবর্ণ রূপ ধারণ করে এ সড়কে ছোট-বড় দূর্ঘটনা নিত্যসঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চিকিৎসায়, দূর্যোগে এ সড়কে যাতায়াত দূরহ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য পথচারীদের। ১ যুগের অধিক সময় ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহালদশায় ক্ষোভে ফুঁসছে দূর্ভোগে থাকা গোমাতলীবাসী।

এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সড়ক সংস্কারে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ শুধু কথার ফুলজুড়ি। ১ যুগেরও অধিক সময় থেকে এ সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে গোমাতলীর নাগরিক সেবা। গ্রামীণ সড়কগুলোর অবস্থাও নাজুক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোমাতলী সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষের নিত্য যাতায়াত। গোমাতলীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

উপজেলার উপকূলীয় পোকখালী ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গোমাতলীর অবস্থান। আদতে এটি কোন দ্বীপ না হলেও গত ১মাস ধরে বেড়ীবাঁধ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে এখানকার মানুষেরা দ্বীপের মানুষের মতো জীবন যাপন করে যাচ্ছে। একদিকে বেড়ীবাঁধ না থাকায় প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটায় বসবাস করছে হাজারো মানুষ। অপরদিকে ৩ কিলোমিটার বিধ্বস্থ সড়ক পাড়ি দিতে দুই দফা নৌকা আর হেটে কাঁদা মাখা পথ মাড়িয়ে ১২ কিলোমিটার দূরের উপজেলা সদরের ঈদগাঁও পৌঁছানো এখানকার মানুষদের কাছে মহাকষ্ঠকর হচ্ছে।

পোকখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুখু মিয়া জানান, ঈদগাঁও থেকে গোমাতলীর দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার হলেও বিধ্বস্থ এই ভাঙ্গা অংশের কারনে বর্তমানে এই ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কয়েক গুন অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা লেগে যাচ্ছে। তার উপর নৌকা, সিএনজি নিয়ে কয়েকদফা গাড়ী বদলিয়ে আসা যাওয়া যেন সেই প্রাচীন যুগের কথা মনে করিয়ে দেয় এলাকাবাসীকে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ না করলে বিচ্ছিন্ন সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারা বলছে সড়কটি মেরামতের জন্য টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকার কারনে।

তবে পোকখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ জানান, সড়ক বিভাগ চাইলে কয়েক ফুট উচু করে সড়কটি মেরামত করতে পারতো। সে ক্ষেত্রে জোয়ারের পানি ঢুকলেও সড়ক যোগাযোগে কোন সমস্যা হতো না, এলাকার মানুষের যাতায়াত সমস্যা লাঘব হতো। অথচ ১ বছর ধরে নানা দোহাই দিয়ে সড়ক বিভাগ কাজে হাত দিচ্ছেনা। তিনি মনে করেন এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে টেকসই উঁচু বেড়ীবাঁধ ও সড়ক নির্মাণ করতে হবে। না হলে গোমাতলী সাগর গর্ভে তলিয়ে যাবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, গোমাতলী সড়ক সংস্কারে বরাদ্ধের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পাঠকের মতামত

অভিভাবকহীন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা’র সীমান্তঘেষা ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ’র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি’দের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত নভেম্বর ...