দচলতি বছর হজে গিয়ে গত দুই দিনে আরও তিন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত সৌদি আরবে বাংলাদেশি মোট ২১ হজযাত্রী মারা গেলেন।
বুধবার (১৯ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। হজ শেষে বৃহস্পতিবার থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন এবং মিনায় একজন মারা গেছেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. আলমগীর হোসেন খান (৭৩), গত ১৬ জুন মিনায় মারা যান। বাকি ৩ জনের নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
হজ ডেস্কের তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে ২ জন মারা যান। তারা হলেন—মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন—নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তা হলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
পাঠকের মতামত