৪৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, প্রচণ্ড তাপদাহে সৌদি আরবে এবার ৫৫০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২৩ জন মিশরীয়, প্রায় ৬০ জন জর্ডানের এবং ৩৫ জন তিউনিসিয়ার নাগরিক। এছাড়াও অন্যান্য দেশেরও রয়েছে। এরই মধ্যে হজের মৌসুম নিয়ে নতুন সিদ্ধানের কথা জানাল সৌদি আরব।
দেশটি জানিয়েছে, আগামী বছর গ্রীষ্মকালের সর্বশেষ হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০২৬ সাল থেকে টানা ১৭ বছর বসন্ত ও শীত ঋতুতে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সৌদি আরবের ন্যাশনাল মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টারের (এনএমসি) মুখপাত্র হুসেইন আল-কাহতানি।
আল-কাহতানি বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে হজ মৌসুম জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে। এরপর আগামী ১৭ বছরের জন্য আমরা গ্রীষ্মকালীন হজকে বিদায় জানাব। ’
তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬ সাল থেকে টানা আট বছর বসন্ত মৌসুমে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আরো আট বছর শীত মৌসুমে হজ অনুষ্ঠিত হবে। সর্বমোট ১৬ বছরের জন্য আমরা গ্রীষ্মকালের হজকে বিদায় জানাব। ’
এদিকে সৌদি শুরা কাউন্সিলের সদস্য ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক ড. মনসুর আল-মাজরুই জানান, আগামী বছরও গ্রীষ্মের ঋতুতে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপরের হজ মৌসুমটি আট বছরের জন্য বসন্তকালে চলে যাবে। এরপর আট বছরের জন্য হজ মৌসুমটি শীতকালে চলে যাবে।
আল-মাজরুই আরো জানান, ১৪৫৪ হিজরি সাল থেকে হজ মৌসুম শীতকালে চলে যাবে। এরপর টানা আট বছর পর্যন্ত চলে ১৪৬১ সালে তা শেষ হবে। এরপর ১৪৬২ হিজরি সাল থেকে ১৪৬৯ হিজরি সাল পর্যন্ত শরতকালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ১৪৭০ হিজরি সালে পুনরায় গ্রীষ্মকালে পবিত্র হজ প্রবেশ করবে এবং ৯ বছর পর্যন্ত এ ঋতুতে তা অনুষ্ঠিত হবে।
মূলত ইসলামী বর্ষপঞ্জির চন্দ্রভিত্তিক গণনার অনুসরণ করে। প্রতিবছর সৌর বর্ষপঞ্জির সঙ্গে এর ১০ দিনের ব্যবধান হয়। অর্থাৎ প্রতিবছর ইসলামী বর্ষপঞ্জি প্রায় ১০ দিন পিছিয়ে যায়। ফলে হজ মৌসুম প্রতি ৩৩ বছর পর পর গ্রীষ্ম, বসন্ত, শীত ও শরৎকালের মধ্যে ঘুরে ঘুরে আসে।
সূত্র : সৌদি গেজেট