বিশেষ প্রতিবেদক::
উখিয়ার উপজেলার ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনের মধ্যে ২নং রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারা, কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রয়োগ, অতিরিক্ত ব্যালট ঢুকানোসহ নানা অভিযোগ এনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রিট আবেদন করেছেন সুপ্রীম কোর্টের হাইকোট বিভাগে।
২নং রত্নাপালং ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হুদা, বিএনপি’র মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টার গত ১৫ জুন এই রিট আবেদনটি করেন।
রিট পিটিশন নং-৭৫৮৫/১৬ এর আদেশে বলা হয়, ১৫ জুন থেকে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সৃষ্ট নির্বাচনী জটিলতা নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে। বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম, জাফর আহমদ এর দ্বৈত ব্যাঞ্চ থেকে এ আদেশ দেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের এ আদেশকে অমান্য করে রহস্যজনকভাবে ওইদিন তড়িগড়ি করে গেজেট প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, দিনে দিনে ওই গেজেট কক্সবাজার জেলা প্রশাসক থেকে শুরু বিভিন্ন দপ্তরেও প্রেরণ করেন। উক্ত গেজেটের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সরকারী বন্ধের দিন অর্থাৎ আজ শনিবার সকালে অথবা দিনের যেকোন সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পন্ন করার খবর পাওয়া গেছে। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জারিকৃত আদেশনামা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গত ১৬ জুন দাখিল করা হলেও রহস্যজনক কারনে ওই ইউনিয়নের শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করেনি। এতে করে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে স্বয়ং প্রশাসনের কর্তাগণ অমান্য করছেন বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। ফলে এমন অবস্থা দেখে আগামীতে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি কতোটা শ্রদ্ধাশীল হবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অথচ, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ধাপের নির্বাচনের শপথতো দুরের কথা ৪র্থ ও ৫ম ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের অধিকাংশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের শপথ অনুষ্ঠান এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাহলে এতো তাড়াহুড়া করে উখিয়ার রতœাপালং ইউনিয়নের গেজেট প্রকাশ পরবর্তী বন্ধের দিন শপথ অনুষ্ঠান করার চেষ্টার কারণ কি এটি এখন উখিয়ার প্রতিটি মানুষের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ আছে, রতœাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রতœাপালং উচ্চ বিদ্যালয় এবং পশ্চিম রতœাপালং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভোট পাওয়ারসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদাসহ প্রতিদ্বন্ধি বাকি দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।