ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দণ্ডিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি জামিন পেয়েছেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেফতারের দুই মাস পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন রণি।
সোমবার (১৩ জুন) বিচারপতি মো.হাবিবুল গণি ও মো.আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রণির অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
হাইকোর্টে রণির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম রেজাউল করিম। তিনি বাংলানিউজকে রণির জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রণিসহ নয়জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় রনির কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমে তথ্য দেয় বিজিবি। এরপর তাদের হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ওইেদিন সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রণিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর দুটি ধারায় এক বছর করে মোট দুই বছর কারাদণ্ড দেন। পরদিন সকালে রণিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া রণির বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত রণিকে আটকের সময় পাঞ্জাবির কলার ধরে টানাহেঁচড়া ও শারীরিক লাঞ্চনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার দিন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। রণির মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে ছাত্রলীগ।
গত ২৫ মে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল মামলায় রণিকে জামিন দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ। তবে অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরপর রণির পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। রণি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
নূরুল আজিম রণি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত।
পাঠকের মতামত