বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ১৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও উখিয়া এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদস্যরা তাদের নিয়ে হাসপাতালে আসে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধরা হলেন জা নি মং এবং নিম লাইন কিং। তারা ২ জন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবশিষ্ট ১৩ জনকে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি’র গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
এর আগে, তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষায় বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৬৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন। তাদের বিজিবি হেফাজতে রেখে উখিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গেল রোববার মধ্যরাত থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহাড়ে অবস্থান করছিল মিয়ানমার আরাকান আর্মির সদস্যরা। ওই পাহাড়ে ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প। কিন্তু এখন এটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ওপারে বৃষ্টির মতো গুলির শব্দের কারণে এপারে আতঙ্কিত হচ্ছে লোকজন।
বিজ্ঞাপন
সীমান্তবর্তী মানুষরা জানান, মিয়ানমার আর্মির ছোড়া গুলির শব্দ শুনছে রোববার মধ্যরাত থেকে। আতঙ্কিত লোকজন পালিয়েছে ঘর ছেড়ে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। ওপারে সংঘাতের প্রভাব পড়ছে এপারে। টানা কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে এখনও চলছে থেমে থেমে গুলির শব্দ। বাংলাদেশ অংশে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তবে, তুমব্রু সড়কে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। গতকাল সকালে মিয়ানমার অংশে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছে তিন বাংলাদেশি।
এদিকে, সীমান্ত এলাকায় রয়েছে সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও গোলাগুলির কারণে আসেনি কোনো শিক্ষার্থী। পশ্চিমকুল তুমব্রু ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন এসব কথা জানান।
দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
বিজিবি’র গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জের ধরে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি ) সকাল পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ৬৮ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এরমধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।