উখিয়া নিউজ ডটকম::
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হয়েছে মায়ানমার থেকে আসা এক রোহিঙ্গা যুবক। সে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
গতকাল শনিবার পুলিশ তাকে হিজড়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে রুমা উপজেলার সদরঘাট এলাকা থেকে রূপসী নামের ভুয়া হিজড়া মোহাম্মদ আলমকে (২২) আটক করে স্থানীয়রা। পরে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
আটক মোহাম্মদ আলম জানায়, বাড়তি আয়ের জন্যে কাজের সন্ধানে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে এসে সে দালালের হাতে পড়ে। দালালরা তাকে হিজড়া সর্দার শ্যামলীর কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় রুমা ও থানচি এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আরেক হিজড়া সর্দার তানিয়ার হাতে।
মোহাম্মদ আলম জানায়, তার অবয়ব ও চালচলন হিজড়াদের কাছাকাছি হওয়ায় তাকে হিজড়ার নারী বেশ ধারণ করিয়ে ৬০ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে চাঁদাবাজিতে নামায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত দু’মাস ধরে রূপসী নামের এই নকল হিজড়া (মোহাম্মদ আলম) রুমা উপজেলার প্রধান বাজার এবং সদরঘাট এলাকায় ভিক্ষা/চাঁদাবাজি করে আসছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তারা বাড়াবাড়ি এবং ভাষাজনিত সমস্যার কারণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
ফলে শুক্রবার তারা নকল হিজড়াকে চ্যালেঞ্জ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে।
রুমা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ খোরশেদ জানান, বিদেশি নাগরিক হওয়ায় প্রচলিত বিধান অনুযায়ী আটকের পর রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আলমকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত