প্রকাশিত: ০৮/০৫/২০১৭ ৭:০৫ এএম

মামলা দায়েরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ওই দুই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ জানায় ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদকে (২৬)।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই ছাত্রীর নমুন সংগ্রহ করেছে। প্রতিবেদন পেতে প্রায় দুই সপ্তাহ লাগবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার বনানী থানায় ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলাটি করেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন, নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাকিফ (২৪), বিল্লাল (২৬)। অন্য একজনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর মধ্যে নাঈম ও সাদমান হচ্ছে সাফাতের বন্ধু। বিল্লাল সাফাতের গাড়িচালক।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বনানীর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।’ তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।

ওই দুই ছাত্রীর অভিযোগ, গত ২৮ মার্চ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের দাওয়াত পেয়ে তাঁরা রাজধানীর একটি হোটেলে যান। সেখানেই তাঁরা ধর্ষণের শিকার হন।

এদিকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে দুই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, তাঁদের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ বোর্ডের প্রধান তিনি নিজেই। বাকিরা হলেন কবির সোহেল, মমতাজ আরা, নিলুফার ইয়াসমিন ও কবিতা সাহা।

সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু ওই দুই তরুণী বলছেন ধর্ষণের ঘটনাটি প্রায় দেড় মাস আগের, এ কারণে আদৌ কোনো আলামত পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমরা উভয়ের মাইক্রোবায়োলজি, রেডিওলজি ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি।’

পাঠকের মতামত