সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবী মিলিয়ে টানা কয়েক দিনের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে সৈকত নগরী কক্সবাজারে। হোটেল-মোটেল খালি না থাকায় ফুটপাত, সৈকতের বালিয়াড়ি ও বাসে রাত্রিযাপন করছেন পর্যটকরা। আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট ও জেলা পুলিশ।
বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সাগর উপভোগ করতে গত বুধবার (৫ অক্টোবর) থেকেই কক্সবাজারমুখী বিপুল পরিমাণ পর্যটক। বেশির ভাগই এসেছেন অগ্রিম বুকিং দিয়ে। যারা অগ্রিম বুকিং দেননি, তারা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে চড়া দামেও পাওয়া যাচ্ছে না হোটেল-মোটেলের রুম। তাই অনেককেই সড়কের ফুটপাত, সৈকত বা যাত্রীবাহী বাসে রাত কাটাতে হচ্ছে।
মোটেল গেস্ট হাউস অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হোটেলগুলো শতভাগ বুক হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক রুমের জন্য এসে ঘুরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাস কাউন্টারের বারান্দায় রাত্রি যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুমিল্লা থেকে আসা মুশফিকুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে কক্সবাজার নেমেছি। অগ্রিম বুকিং ছিল না। সারাদিন অনেকগুলো হোটেল খুঁজেও রুম পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।
dhaka post
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিরাজ বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। বিকেল থেকে হোটেলের রুম খুঁজছি। কিন্তু এখনো পাইনি। এদিকে সুযোগ পেয়ে খাবার হোটেলগুলোও খাবারের বাড়িয়ে দিয়েছে। অটোরিকশা চালকরাও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন।
ফেনী থেকে এসেছেন ফরিদুল ইসলাম। বাড়তি ভাড়া দিয়ে রুম পেয়েছেন তিনি। এই পর্যটক বলেন, ছুটি পেয়ে এবারই প্রথম কক্সবাজার এসেছি। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকার মতো ভিড়। প্রথম দিন ১৫০০ টাকার রুম ৩০০০ দিয়ে নিয়েছি। এভাবেই চললে কক্সবাজারে পর্যটক আসবে না।
তবে পর্যটকদের রুম না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান। তিনি বলেন, আমাদের অনেক হোটেলে এখনও রুম খালি আছে। সায়মন, ওশান প্যারাডাইসসহ তারকা মানের হোটেলে খুঁজলে তো আর কেউ রুম পাবে না।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লা বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত। আমরা গভীর রাতেও মাঠে রয়েছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ মোবাইল টিম কাজ করছে।
পাঠকের মতামত